বিগত ১৪/০৯/১৯৮৩খ্রি. মোংলা উপজেলার সৃষ্টি। উপজেলা প্রশাসন সৃষ্টির পর থেকে উপজেলা মৎস্য দপ্তর মোংলা উপজেলায় কাযক্রম শুরু করে। মৎস্য চাষ ও উন্মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য সম্পদের ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই উপজেলায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। বর্তমানে এই উপজেলায় একজন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, একজন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, একজন ক্ষেত্র সহকারী, একজন অফিস সহকারী ও একজন এমএলএসএস কর্মরত আছেন। এছাড়াও মেরিন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্পের একজন স্পীড বোট চালক এই দপ্তরে কর্মরত আছেনে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোংলা উপজেলার মৎস্য দপ্তরের অফিস প্রধান। উপজেলা পরিষদের মুল ভবনের দক্ষিণ অংশের ২য় তলায় মৎস্য দপ্তর অবস্থিত। এছাড়াও উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পযায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগকৃত ৬জন লিফ মাঠ পযায়ে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। চিংড়ি চাষে সম্ভাবনাময় এই উপজেলায় ১০৮৫৮ হে: জমিতে বাগদা ও গলদা চিংড়ি চাষ হয়। সরকারী পুকুর আছে ১৫টি যার আয়তন ৪.২৪ হে:। বার্ষিক বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ৪০৪১ মে.টন এবং গলদা চিংড়ি উৎপাদন ১৫৯ মে.টন, অন্যান্য চিংড়ি ৮৪৭ মে. টন ও সাদা মাছ উৎপাদন ২৬১১ মে.টন। লাইসেন্সকৃত মৎস্য ডিপোর সংখ্যা ৩৮টি এবং বরফকলের সংখ্যা ৩টি। এই উপজেলায় ৭টি মৎস্যজীবী সংগঠন রয়েছে। মোংলা ও পশুর নদী বেষ্টিত সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলাটি জীবেবৈচিত্রের একটি উৎকৃষ্ট স্থান। সুন্দরবন সংলগ্ন ২টি গুরুত্বপূর্ণ নদী ও তার শাখাপ্রশাখা সংযুক্ত ৬৭টি খাল স্বল্প লবনাক্ত পানির মাছের এক অপূর্ব আবাসস্থল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস